রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীতে খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ এর দশম শ্রেণির ছাত্রী (বর্ষা) কে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার চেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে । শনিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সামনে বর্ষার পরিবার ও এলাকাবাসী আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব বন্ধনে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য সাংবাদিক-কলামিস্ট গোলাম সারোয়ার, আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু,

আইএইচসিআরএফ’র সাধারণত সম্পাদক সাগর নোমানী প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন আইএইচসিআরএফ এর প্রচার সম্পাদক সাজেদুল হক টিটু, সদস্য মানিক,আদিল,তুষার,আয়ুব,খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক সাহানারা ফেরদৌস, মেরিনা আক্তার, ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম ও এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল, রনি,

রাসেল, টিটু,খালেক প্রমূখ। ভুক্তভোগী বর্ষা(১৫) রাজশাহী নগরীর হাদির মোড়ের খাদেমুল ইসলাম স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও একই এলাকার মুকুল আলী(৪০) ও জরিনা বেগম (৩২) দম্পতির মেয়ে। মানববন্ধনের বক্তারা ঘটনার বিবরনে বলেন, সামান্য ছয়শত পঞ্চাশ টাকার কারনে ঘটনার সূত্রপাত। রাজশাহী নগরীর হাদির মোড়ে বসবাস ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বর্ষার (১৫) বাবা মুকুল আলী (৪০) ও মা জরিনা বেগম (৩২) বসবাস করেন।

জানা যায়, বর্ষার বাবা মায়ের কাছ থেকে সেলাই কাজের ছয়শত পঞ্চাশ টাকা পান অভিযুক্ত একই এলাকার বাসিন্দা মইদুল (৪০) ও তার পরিবার। সেই টাকা না পেয়ে মইদুলের স্ত্রী নাজমা, মেয়ে মনিকা (১৫) ও মইদুল বর্ষার পরিবারের সাথে গালাগালি, রেষারেষি শুরু হয় । মনিকা ও বর্ষা একই স্কুলের শিক্ষার্থী তারা ২৭ সেপ্টেম্বর স্কুলে কথাকাটি করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণজিৎ কুমার সাহা ও উভয় পরিবারের অভিভাবকের উপস্থিতিতে তা মীমাংসা করে দেয়।

এরপর পূর্বের ঘটনার জের ধরে ২৯ সেপ্টেম্বর হাদির মোড়ে বাঁধের নিচে ডাবলুর দোকানের সামনে মনিকার বাবা মইদুল ও মা নাজমা বর্ষাকে একা পেয়ে তাকে ধরে মারধোর করে আর মনিকা অতর্কিত ভাবে হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালায়। মানববন্ধনের বক্তারা জানান, ঐ ঘটনায় বর্ষার ওড়না খুলে নেয় মইদুল,

নাজমা মারধর করে এবং মনিকা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন হাসপাতালে বেডে শুয়ে অপলক চোখে চেয়ে আছে বর্ষা। তার ভবিষ্যত অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। সে মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় মানব বন্ধন থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ন্যাক্কার জনক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানানো হয়েছে।